কিশোরগঞ্জে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ের ছয় মাস পর স্বামীর বাড়ি থেকে শাহজাদী নাফিয়া সাদিয়া (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ আগস্ট) সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের কালাইহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
শাহজাদী নাফিয়া জেলার তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের বান্দুলদিয়া গ্রামের মৃত শাহ আব্দুল হান্নানের মেয়ে।
সে শহরের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার স্বামী বাদশা কালাইহাটি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাদশার সঙ্গে স্কুলছাত্রী নাফিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নাফিয়াকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন বাদশা। গোপনে কোর্ট অ্যাফিডেভিট করে বিয়েও করেন তারা। রোববার দুপুরে স্বামীর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় নাফিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের মা ফাতেমা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে বাদশা নাফিয়াকে মারধর করত। হত্যার পর মেয়ের মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।